নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: উপজেলা আওয়ামীলীগকে পাশ কাটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্মেলন প্রস্তুতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি। উপজেলা আওয়ামীলীগকে পাশ কাটিয়ে ইউনিয়ন সম্মেলন কমিটি করায় ক্ষিপ্ত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশ। সেজন্য তারা একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি কাছে নালিশ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা মির্জা আজম এমপি’র কার্যালয়ে সাক্ষাত করে আওয়ামীলীগের নেতারা নালিশ করেন আহবায়ক কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার, বারদী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর ইসলাম রবিন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

এসময় আওয়ামীলীগের নেতা এমপি মির্জা আজম এমপিকে বলেন, কথিত উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’ একজন সদস্য অন্য সদস্যদের বাদ দিয়ে ১০টি ইউনিয়নে সম্মেলন করার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। অথচ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্যরা এ ব্যাপারে অবগত নয় এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্যরাও অবগত নয় সেজন্য তারাও ক্ষুদ্ধ। আর এতে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও কথিত আহবায়ক কমিটির মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দিতে পারে। এতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি নষ্ট হতে পারে।

তারা আরো বলেন, কথিত আহবায়ক কমিটি যারা দাবি করেন তারা সুবিধাবাদি, অনুপ্রবেশকারী ও স্বাধিনতা বিরোধী শক্তির আত্মীয় স্বজন। যারা জীবনে কোন দিন জয়বাংলা শ্লোগান দেননি। তারা উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে দলের ত্যাগী নেতাদের পাশ কাটিয়ে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে পদপদবী কিনে নিয়ে দলকে কলংকিত করে জামায়াত শিবিরকে প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে।

এসময় মির্জা আজম এমপি তাদের কথা শুনে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে ফোন করে তাদের সকল কর্মসুচি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কোন কমিটি ও কমিটির সম্মেলন যাতে না করেন সেজন্যও তাকে বলে দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামীলীগের নেতারা।

এ ব্যাপারে মাহফুজুর রহমান কালাম জানান, আমরা সাবেক এমপি কায়সারসহ উপজেলার অন্যান্য আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সাথে সাক্ষাত করে কথিত আহবায়ক কমিটির সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনি আমাদের সকল কথা মনোযোগ সহকারে শুনে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে ফোন করে তাদের সকল কার্যকম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া জানান, মির্জা আজম আমাকে ফোন করে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আগামী মার্চ পর্যন্ত কোন সম্মেলন যাতে না করা হয় সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আহবায়ক কমিটির কর্মকান্ড নিয়ে কোন কথা বলেনি বলে তিনি জানান।